ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না!

durnitiপেকুয়া প্রতিনিধি :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে খতিয়ান সৃজনে তহশিলদার কাজল কান্তি শীল ও কথিত উম্মেদার আবু ছিদ্দিকের বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্যে অসহায় পড়েছে স্থানীয় ভূমির মালিকরা। ভূমি অফিসের কর্তা বাবুদের এহেন ঘুষ বানিজ্যের কারণে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

 ভূক্তভোগীদের অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কান্তি শীলের তার অফিসের কথিত উম্মেদার আবু ছিদ্দিকের মাধ্যমে প্রতিটি খতিয়ান সৃজনে প্রাথমিক রিপোর্ট উপজেলা ভূমি অফিসে প্রেরণের কথা বলে প্রতি খতিয়ান থেকে ৪-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করছেন। কোন জমির মালিক তহলিশদারের দাবীকৃত ঘুষ দিতে ব্যর্থ হলে তাকে নানা ধরনের হয়রানী করা হয়। জানা গেছে, বিগত ৪/৫ বছর পূর্বে বারবাকিয়া ভূমি অফিসের এমএলএসএস পদ থেকে আবু ছিদ্দিক অবসর গ্রহণ করেন। এরপর থেকে আবু ছিদ্দিক পেকুয়া সদর ইউনিয়নের তহলিশদার কাজল কান্তি শীলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে উম্মেদার হিসেবে কাজ করছেন। জানা গেছে, আবু ছিদ্দিক প্রতিনিয়তই বিভিন্ন জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভূমি অফিসে আসা লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করে। পরে আবু ছিদ্দিকের আদায়কৃত ঘুষ নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন।

 উজানটিয়া ইউনিয়নের আহমদ উল্লাহ শাহ, করিম শাহ, আবদুল আলীসহ আরো কয়েকজন লোক অভিযোগ করেছেন, পেকুয়া ভূমি অফিসের তহশিলদার উম্মেদার আবু ছিদ্দিকের মাধ্যমে প্রতিটি খতিয়ান সৃজনের সময় মোটা অংকের ঘুষ আদায় করছেন। এভাবে প্রতিনিয়তই খতিয়ান সৃজনের সময় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তহশিলদারের কথিত উম্মেদার আবু ছিদ্দিক।

 সরেজমিনে গিয়ে জানা জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কান্তি শীলের সাথে ভূমি অফিস কেন্দ্রীক সক্রিয় দালালদের সাথে রয়েছে গভীর সখ্যতা। প্রতিদিন স্থাণীয় ৭/৮ জন দালাল ভূমি অফিসে আগত লোকজনকে জিম্মি করে ভূমি সংক্রান্ত কাজ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করে। আর দালালদের আদায় করা টাকা থেকে তহশিলদারকে নির্দিষ্ট অংকের কমিশন দেওয়া হয়। এভাবে পেকুয়া ইউনিয়নে ভূমি অফিসে দালাল-উম্মেদার সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার কারনে সাধারন লোকজন জিম্মি হয়ে পড়েছে।

 জানা গেছে, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খতিয়ান সৃজনের প্রাথমিক রিপোর্টে তহলিশদারে স্বাক্ষর, জমির খাজনা প্রদানসহ জমির নানাবিধ বিষয়ে স্থানীয় জমির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না পেকুয়া ভূমি অফিসে।

 এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেকুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহলিশদার কাজল কান্তি শীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 পেকুয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি মারুফুর রশিদ খান জানান, তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন। কর্মস্থলে ফিরেই এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাঠকের মতামত: